ট্রাস্ট এসোসিয়েশন অব সিরাজগঞ্জের গঠনতন্ত্র
তারিখঃ- ২৫/০৭/২০১৭ ইং
সমিতির নাম ও ঠিকানা
১। সমিতির নাম ঃ- ট্রাস্ট এসোসিয়েশন অব সিরাজগঞ্জ।
২। সমিতির ঠিকানা ঃ –
(ক) স্থায়ী কার্যালয় ঃ Miraj-Adnan Mension (1st floor), EB Road, Sirajganj Sadar, Sirajganj-6700
(খ) অস্থায়ী কার্যালয় ঃ৩৩/ক/২, ৩৩/খ, মায়াকানন, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা।
সমিতির নির্বাচনী এলাকা ও কর্ম এলাকা ঃ–
১। সমিতির কর্ম এলাকা বলতে সিরাজগঞ্জ জেলা, ঢাকা জেলা ।
সমিতি গঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যঃ
১। সমিতির মূল উদ্দেশ্য, সমিতির সদস্যদের সমন্বয়ে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ এর আশেপাশে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা।
২। সমিতির সঞ্চিত অর্থ বা সমিতির মূলধন বৃদ্ধির জন্য কোন ঝুকি মুক্ত খাতে বিনিয়োগ করা। (আলোচনা স্বাপেক্ষে)
৩। সমিতি গঠন করে পারস্পারিক সহযোগীতার মাধ্যমে সমবায় সংগঠন ভিত্তিক পরিকল্পিত জীবন যাপন উদ্বুদ্ধ করে আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা।
৪। সমিতির মাধ্যমে সকল সদস্যের সাথে বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখা।
৫। সমিতির মাধ্যমে সদস্যদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্মিলিত বৃহৎ মুলধন সৃষ্টি করা এবং তা নিজেদের ভবিষ্যৎ সুযোগ সুবিধা সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করা।
৬। সদস্যদের ক্ষমতায়ন সচেতনা বৃদ্ধির ও নেতৃত্ব বিকাশে সহয়তা করা।
৭। সদস্যদের আয় বৃদ্ধির জন্য বানিজ্যিক ও উন্নয়ন মূলক প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
৮। সদস্যগনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সাংগঠনিক ভাবে করা। যেমন ঃ- কোন সদস্য বা সদস্যার পরিবারের রক্তের প্রয়োজন হলে রক্তদান করা। আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা ইত্যাদি।
৯। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সাংগঠনিক ভাবে এগিয়ে আসা। যেমনঃ – শীত বস্ত্র বিতরণ, বন্যাদূর্গতদের সাহায্য করা ইত্যাদি।
১০। সমিতির নামে জমি ক্রয় করে আবাসস্থল, দোকান, মার্কেট, হাসপাতাল নির্মান করা।
১১। কৃতিছাত্রদের সংবর্ধনা প্রদান করা।
১২। সমিতির উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আইন ও বিধি মোতাবেক যে কোন কাজ গ্রহণ ও সম্পাদন করা।
সমিতির সদস্য পদের যোগ্যতাঃ –
১। যাদের সিরাজগঞ্জ জেলায় স্থায়ী নিবাস আছে বা বাবা/মা’র চাকুরী/ব্যবসা সুত্রে সিরাজগঞ্জে ছিল তারা এই সমিতির সদস্য হতে পারবে।
২। সদস্যদের স্ত্রী/স্বামীগন এই সমিতির সদস্য হতে পারবে।
৩। ১০০জন সদস্য পূর্ণ হয়ে গেলে আর কোন সদস্য নেওয়া হবে না।
৪। কোন সদস্য/সদস্যার পদ শুন্য হলে বা কেহ সমিতি থেকে চলে গেলে সমিতির অন্য সদস্যগনের মধ্যে থেকে যদি কেহ অতিরিক্ত শেয়ারটি নিতে চায় তা পারবে (স্বামী/স্ত্রী)। না হলে পদ টি শুন্য থাকবে। (বিষয়টি আলোচনা স্বাপেক্ষ)।
৫। সমিতির সদস্য/সদস্য সংখ্যা ও মুলধন বৃদ্ধির লক্ষে সাধারন সভায় সংখ্যা গরিষ্ট সদস্যদের অনুমতিক্রমে সদস্য নির্বাচনি প্রক্রিয়ার ১, ২, এবং ৩ নং শর্ত পুরোন করে নাই এমন লোককেও সদস্য করা যাবে যদি সে সমিতির শুভাকাঙ্খী এবং সমিতির অন্যান্য সদস্যের সমমনা হয়। সেক্ষেত্রে সমিতির সাধারন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনুমতিতে হতে হবে।
সমিতির সদস্য ভূক্তির শর্ত ঃ –
১। প্রতি মাসের 30 তারিখের মধ্যে ১০০০/- (এক হাজার) টাকা চাঁদা দিতে হবে।
২। সমিতিরে মূলধন বৃদ্ধির উদ্দেশে বৎসরের বিশেষ বিশেষ মাসে চাঁদার পরিমান সহনিয় পরিমান বৃদ্ধি করা হইলে এবং তা সাধারন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনুমতিক্রমে গৃহীত হলে সেই পরিমান চাঁদা দিতে হবে।
৩। নতুন সদস্য ভর্ত্তির ক্ষেত্রে সমিতির পূর্ববর্তী মূলধন এবং লাভ এর টাকা পরিশোধ করতে হবে।
৪। সমিতির স্বার্থে প্রতি মাসে ১টি ক্ষুদ্র অংকের টাকা চাঁদার সাথে জমাতে হবে। যে টাকা দিয়ে সমিতির দৈনন্দিন খাতে বা মিটিং এর খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে। ( টাকার পরিমান আলোচনা স্বাপেক্ষে নির্ধারণ করতে হবে।)
৫। প্রতি সদস্য মাসিক ১,০০০/- (এক হাজার টাকা মাত্র) চাঁদা প্রতি মাসের 30 তারিখের মধ্যে ক্যাশিয়ারের নিকট অথবা ব্যাংকে জমা দিবে। যদি কোন সদস্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাঁদা দিতে ব্যর্থ হয় তবে পরবর্তী মাসের চাঁদার সহিত জরিমানাস্বরূপ ১০০/- (এক শত টাকা মাত্র) অতিরিক্ত প্রদান করিতে হইবে। অগ্রীম প্রদানের ক্ষেত্রে কোন অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হইবে না।
৬। যদি কোন সদস্য পরপর তিনটি(৩) কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে অপারোগ হয় তাহলে তাকে নোটিশ করা হবে। এরপর যদি ৫টি কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে অপারোগ হয় তাহলে তার সদস্য পদ সাময়িকভাবে বাতিল হইবে।
৭। সমিতির প্রাথমিক কার্যকাল ১০ (দশ) বৎসর, তবে সদস্যের অনুমতিক্রমে ১৫ (পনের) বছর পর্যন্ত করা যাইতে পারে।
৮। সমিতির স্থায়ী সদস্য সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ১০০ (একশত) জন। (এক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জ জেলার স্থায়ী নিবাস হতে হবে)।
সমিতির সদস্যপদ প্রত্যাহার, অবসান পদ্ধতি ঃ –
১। পদত্যাগ করিলে।
২। মৃত্যু ঘটিলে।
৩। ইচ্ছাপূর্বক আইন বা সমিতির প্রনীত নিয়ম লংঘন করা।
৪) সমিতির স্বার্থহানিকর কাজ করা।
৫) সাধারন সভার নির্দেশ অমান্য করা।
৬) ইচ্ছা পূর্বক সমিতির চাঁদা পরিশোধ না করা।
উপরোক্ত কারনে ব্যবস্থাপনা কমিটি সাধারন সভায় দুই- তৃতীয়ংশ সদস্যদের অনুমতি ক্রমে সদস্য বহিস্কার ও অপসারণ করতে পারবে।
সদস্যদের প্রাপ্য ফেরৎ পদ্ধতি ঃ –
১। মৃত্যু জনিত কারনে অবসান হইলে মনোনিত ব্যক্তি (নমীনি) ঐ সময় পর্যন্ত সমিতির লভ্যাংশ সহ তার পাপ্য ফেরত পাইবে।
২। সমিতি থেকে কেউ যদি কোন কারন বশত চলে যেতে চায় 5 বৎসরের মধ্যে তাহলে লিখিত ভাবে আবেদনের প্রেক্ষিতে শুধু আসল টাকা ফেরৎ দেয়া হবে ১০০% ৩ মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে। আর যদি 5 বৎসরের পরে যদি কেহ চলে যেতে চায় তাহলে আসল টাকা সহ আলোচনা স্বাপেক্ষে লাভের টাকা প্রদান করা হবে।
৩। সমিতির কার্যকাল শেষ হইবার পূর্বেই কোন সদস্য তাহার সদস্যপদ বাতিল করিতে চাইলে অথবা কোন সদস্যের সদস্যপদ অন্য কোন কারণে বাতিল হইলে সে তাহার মোট জমাকৃত টাকার ১০০% পর্যন্ত ফেরৎ পাইবে। এখানে উল্লেখ্য থাকে যে, সমিতির কোন প্রকার আয়ের/মুনাফার অংশ পাইবে না। এর মধ্যে যদি কোন জমি বা অন্য কোন স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয় করা হয়, সে ক্ষেত্রে জমাকৃত টাকার ১০০% তিন মাস থেকে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। ( মুনাফার বিষয়টি আলোচনা স্বাপেক্ষে)।
সমিতির মূলধন সৃষ্টি ও ব্যবহার পদ্ধতি ঃ –
# সদস্য হইতে যে সকল চাঁদা সংগ্রহ বা আদায় যাদের মাধ্যমে সংগৃহীত হবে তা সংঙ্গে সংঙ্গে সমিতির নির্ধারিত ব্যাংক এ্যকাউন্টে জমা রাখতে হবে। (কোন অবস্থাতেই বন্ধের দিন ছাড়া টাকা হাতে রাখা যাবে না।)
# সমিতির এ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ যতক্ষন পর্যন্ত না কোন স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাংকের এক লক্ষ টাকা হলেই তা ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখতে হবে, যাতে আমাদের বেশী ইনকাম হয়।
# সমিতির জন্য যদি কোন স্থায়ী সম্পদ ক্রয় করতে হয় আর সেই ক্ষেত্রে যদি অতিরিক্ত কোন অর্থের প্রয়োজন হয় সেই ক্ষেত্রে সদস্যদের কাছ থেকে লোন স্বরূপ ব্যাংকের মুনাফায় অথবা অংশিদার ভিত্তিক (আলোচনা স্¦াপেক্ষে)। আর তা নাহলে ব্যাংক থেকে লোন করে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।
# সমিতির কল্যানার্থে মূলধন জমিক্রয়, বা অন্য কোন লাভজনক খাতে ব্যবহার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে তা সমিতির নামে অথবা সমিতির সদস্যদের প্রত্যেকের নামে যৌথ ভাবে সমান অংশীদারীত্বে করা যাবে। কখনও যদি সমিতির মূলধনের চেয়ে জমির মূল্য বেশী হয় সে ক্ষেত্রে সদস্যদের মধ্যে থেকে কেহ অতিরিক্ত বিনিয়োগ করতে চাইলে বর্ধিত বিনিয়োগ অনুযায়ী তার কাছ থেকে ধার স্বরূপ গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে তা আলোচনা স্বাপেক্ষে।
সমিতির পরিচালনা পদ্ধতি ঃ –
ক। কমিটি ঃ- কার্যনির্বাহীর কমিটির মেয়াদ কাল হবে ২ দুই বৎছরের জন্য।
# কার্যকরি কমিটির সদস্য/সদস্যা সংখ্যা হবে 21-29 জন।
# সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্থায়ী সদস্যের যে কেউ হইতে পারিবে। সহ-সভাপতি, সহ-সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক এবং প্রচার সম্পাদক নিজ দায়িত্বে অথবা সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হইবে।
# কার্যনির্বাহীর কমিটির সদস্য সংখ্যা হবে নি¤œরূপঃ –
সভাপতি ঃ- ১ জন
সহ-সভাপতি ঃ- 2 জন
সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ঃ- ১ জন
সহ-সাধারণ সম্পাদক ঃ- 1 জন
অর্থ সম্পাদক ঃ- ১ জন
সহ-অর্থ সম্পাদক ঃ- 1 জন
সাংগঠনিক সম্পাদক ঃ- ১ জন
সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক ঃ- 1 জন
প্রচার সম্পাদক ঃ- ১ জন
দপ্তর সম্পাদক ঃ- ১ জন
IT সম্পাদক ঃ- 1 জন
ধর্মীয় সম্পাদক ঃ- 1 জন
অন্যান্য সদস্য ঃ- 15 জন
খ। সভা/মিটিং ঃ- সমিতির মিটিং হতে হবে ২ ধরনের ।
(১) সাধারন মিটিং ও
(২) কার্য নির্বাহির মিটিং
# সাধারণ মিটিং ঃ- বৎছরে দুই বার হতে হবে। বৎছরের মাঝামাঝি আর বৎছরের শেষে।
# কার্যনির্বাহির মিটিং ঃ- কার্যনির্বাহির মিটিং প্রতি মাসের অন্তত একবার অনুষ্ঠিত হতে হবে।
গ। ব্যাংক হিসাব ঃ- বাংলাদেশে অবস্থিত কোন তফসিল বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে সমিতির কার্যকরী সদস্যের কমপক্ষে ০৪ (চার) জন সদস্য দ্বারা একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হইবে।
# তিন জনের যৌথ স্বাক্ষরে সমিতির নামে একটি ব্যাংক হিসাব থাকবে। তিন জনের স্বাক্ষরের মধ্যে এক জনের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক থাকবে সাথে অপর দুই জনের যে কোন একজনের যৌথ স্বাক্ষরে হিসাবটি পরিচালিত হবে। সমিতির মোট সদস্য সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ ভোটে স্বাক্ষর কারি নির্বাচিত হবে। এবং স্বাক্ষরকারীত্ব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সমিতির দুই তৃতীয়াংশ সদস্যর ভোট প্রয়োজন হবে।
# সব সময় ব্যাংকের স্বাক্ষর থাকবে ৩ (তিন) জন। তিনজনের স্বাক্ষর ছাড়া টাকা উত্তোলন করা যাবে না। (আলোচনা স্বাপেক্ষ্য)।
ঘ। নিরিক্ষা ঃ- সমিতির ভবিষ্যৎ এর কথা মাথায় রেখে তিন সদস্য ভিত্তিক একটি নিরিক্ষা কমিটি করতে হবে, যাহা অন্তত ৬ মাসের একবার নিরিক্ষা করে সাধারণ মিটিং এ উপস্থাপন করা হয়।
সদস্যদের নমুনা স্বাক্ষর ঃ –
প্রত্যেক সদস্যদের নমুনা স্বাক্ষর সমিতির নির্ধারিত ফরমে সংরক্ষতি থাকবে। যাহা সবার কোরাম সভার সিদ্ধান্ত গ্রহনে সদস্যদের সম্মতি প্রদান এবং ভবিষ্যৎতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
ট্রাস্ট এসোসিয়েশন অফ সিরাজগঞ্জ এর বর্তমান গঠনন্ত্রে যে সকল বিষয় গুলো উপস্থাপন করা হলো তার অতিরিক্ত কোন সমস্যার আবির্ভাব হলে তা সমবায় এর উপবিধির মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আর তাতেও যদি সমাধান না হয় তাহলে সাধারণ সভায় উক্ত বিষয় উপস্থাপন করে দুই তৃতীয় অংশ সদস্য/ সদস্যার মতামতের ভিত্তিতে ট্রাস্ট এসোসিয়েশন অফ সিরাজগঞ্জ গঠনতন্ত্র সংযোজন, পরিমার্জন এবং পরিবর্তন এনে তার সমাধান করা যাবে।
সমাপ্তি